হ্যা, মেজর সিনহার হত্যা রহস্য যে থানার সিসিটিভি ফুটেজেই লুকিয়ে আছে সেই বোধটা এতদিনে জাগ্রত হয়েছে? বিশাল বপু টাইপের সাংবাদিক নামধারী কতিপয় মূর্খ দালাল ৩১ জুলাই কী ঘটেছিল তা জানতে রিসোর্টে ঘুমন্ত সিপ্রা দেবনাথের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন। যমুনার আরেক বাচ্চা গাধা রিসোর্টের আরেক রুমে বেঘোরে ঘুমানো তাহসীনের বক্তব্য নিয়েই বলে উঠে, না, না মেজর ইয়াবা সংক্রান্ত কোনো কাজে গিয়েছিলেন না, তিনি টাইম ল্যাপস এর ভিডিও করতে পাহাড়ে উঠেছিলেন। অন্ধ মনিরুলদের একবারও মনে প্রশ্ন জাগে না যে, মেজরের সঙ্গে সেদিন শুধু সিফাত ছিলেন। ওইদিনের বিষয়ে সিপ্রা-তাহসীন কিছুই জানেন না। অথচ বিডি নিউজ, যমুনা টিভিসহ কয়েকটি মিডিয়ার ভারিক্কি মার্কার সাংবাদিক 'অপ্রয়োজনীয় দু'জনের বক্তব্য' প্রকাশ করতে পেরেই কী আনন্দে গদগদ হয়ে উঠলেন? এখন কী একটুও লজ্জা লাগছে না? প্রতিবন্ধী স্টাইলের বুদ্ধি নিয়ে আবার টাইম ল্যাপস ভিডিও কী সেই জ্ঞ্যাণ বিতরণেরও পাঁয়তারা চালালেন? আপনার টাইম ল্যাপস যে প্রকৃত তথ্যসূত্র সিফাত পর্যন্তই যেতে পারে না-এটা কী টের পেয়েছেন? আপনার টাইম ল্যাপস ভিডিও'র শিক্ষা যে ২২ কিলোমিটার দূরের টেকনাফ থানায় মেজরের যাওয়ার কথাটা ভাবতে পর্যন্ত পারে না-তা নিজে নিজেই গুলিয়ে খেয়ে ফেলেন। তাতে পেটটা ভরা থাকলে ফালতু কথা বলতে মন চাইবে না। আপনাদের মার্কারই আরেক গুরু সাংবাদিক তো ইলিয়াস কোবরাতেই ডুবে রইলেন। তার কাছে জাতির মেধাবী দক্ষতাপূর্ণ এক সন্তান মেজর মারা যাওয়াটা কোনো বিষয় না, কিন্তু মেজরের মৃত্যুকালীন ছটফটানিতে কোবরার গায়ে কোনো ধুলা লাগলো কি না-তা পরিস্কার করার কর্মেই নিজেকে উজাড় করে দিলেন!
বুদ্ধিহীন, পাগল-ছাগল নানা কথাই বলতে পারে সেসব শুনলে তো আর আমাদের চলবে না। আমরা রাষ্ট্র ও জাতির প্রতি সুনির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের অঙ্গিকার করেই ক্ষুদে রিপোর্টারের কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে থাকি। তাই আগে রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই-তারপর অন্য কিছু ভাবি। এরপরও জ্ঞ্যান স্বল্পতায় কত শত ভুল করি, সেটা বুঝে নিজে নিজেই লজ্জা পাই, সংশোধিত হবার চেষ্টা করি।
সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারে গাফিলতি
হার্ড ড্রাইভ নিয়ে গেছে চুমকি
মেজর সিনহার হত্যাকান্ডটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, এ কারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হত্যা মামলার অগ্রগতি বিষয়েও নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। গত ৯ আগস্ট আমার প্রতিবেদনে ফলাও করে তোলা হয়েছে যে, মেজর সিনহা টেকনাফ থানায় গিয়ে ওসি প্রদীপের ইয়াবা সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-আর এটাই মেজরের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে এবং নানা বিতর্ক ছড়িয়ে দেয়ার বিপরীতে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম থানার সিসিটিভি ফুটেজে তা প্রমানিত হবে। তারপরও দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ বা সংগ্রহ করে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা নিলেন না কেন?
ওসি প্রদীপ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হন, পরে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান। কিন্তু প্রদীপের সব সম্পদের মালিক, অপরাধের দোসর তারই স্ত্রী চুমকি কিন্তু টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে ওসির বাংলোতেই অবস্থান করছিলেন। তার আয়েশের জন্য সরকারি এ বাংলোটির দেয়াল ভেঙ্গে কয়দিন আগেই দামি এয়ারকন্ডিশনার বসানো হয়েছে, আছে পানি ঠান্ডা গরমের মেশিন ব্যবস্থা। ওসি প্রদীপ জেলে থাকলেও চুমকির সার্বক্ষণিক সেবাদানের জন্য এএসআই সুজীত ও কনস্টেবল সাগরসহ চার জন পুলিশ সদস্য তার আশপাশেই ঘুরঘুর করেন। কারো পরামর্শ অনুযায়ী গত ১২ আগস্ট রাতে এএসআই সুজিত ও সাগরের মাধ্যমে থানা সিসিটিভির হার্ডডিস্কটি খুলিয়ে চুমকির লাগেজে ভরা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি পরদিন ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার চুমকি তার সবকিছু গুছিয়ে টেকনাফ থানার বাংলো ছেড়ে তার চট্টগ্রামের বাসায় চলে যান। সঙ্গত কারণেই ১৭ আগস্ট থেকে খোঁজাখুঁজি করে সিসিটিভি'র ফুটেজ সংবলিত হার্ডডিস্কটা আর পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেখানেই রয়েছে হত্যাকান্ডের আসল মোটিভের সচিত্র প্রমাণ।
হার্ড ড্রাইভ নিয়ে গেছে চুমকি
মেজর সিনহার হত্যাকান্ডটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, এ কারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হত্যা মামলার অগ্রগতি বিষয়েও নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। গত ৯ আগস্ট আমার প্রতিবেদনে ফলাও করে তোলা হয়েছে যে, মেজর সিনহা টেকনাফ থানায় গিয়ে ওসি প্রদীপের ইয়াবা সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-আর এটাই মেজরের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে এবং নানা বিতর্ক ছড়িয়ে দেয়ার বিপরীতে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম থানার সিসিটিভি ফুটেজে তা প্রমানিত হবে। তারপরও দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ বা সংগ্রহ করে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা নিলেন না কেন?
ওসি প্রদীপ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হন, পরে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান। কিন্তু প্রদীপের সব সম্পদের মালিক, অপরাধের দোসর তারই স্ত্রী চুমকি কিন্তু টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে ওসির বাংলোতেই অবস্থান করছিলেন। তার আয়েশের জন্য সরকারি এ বাংলোটির দেয়াল ভেঙ্গে কয়দিন আগেই দামি এয়ারকন্ডিশনার বসানো হয়েছে, আছে পানি ঠান্ডা গরমের মেশিন ব্যবস্থা। ওসি প্রদীপ জেলে থাকলেও চুমকির সার্বক্ষণিক সেবাদানের জন্য এএসআই সুজীত ও কনস্টেবল সাগরসহ চার জন পুলিশ সদস্য তার আশপাশেই ঘুরঘুর করেন। কারো পরামর্শ অনুযায়ী গত ১২ আগস্ট রাতে এএসআই সুজিত ও সাগরের মাধ্যমে থানা সিসিটিভির হার্ডডিস্কটি খুলিয়ে চুমকির লাগেজে ভরা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি পরদিন ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার চুমকি তার সবকিছু গুছিয়ে টেকনাফ থানার বাংলো ছেড়ে তার চট্টগ্রামের বাসায় চলে যান। সঙ্গত কারণেই ১৭ আগস্ট থেকে খোঁজাখুঁজি করে সিসিটিভি'র ফুটেজ সংবলিত হার্ডডিস্কটা আর পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেখানেই রয়েছে হত্যাকান্ডের আসল মোটিভের সচিত্র প্রমাণ।